আমান উল্লাহ আমান, টেকনাফ:
টেকনাফ শাহপরীরদ্বীপের চাঞ্চল্যকর গৃহবধু তাহেরা বেগম হত্যার ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এখনো উদ্ধার হয়নি গুম করে রাখা দুই শিশু কন্যা। তাঁরা হলো- শাহিনা আক্তার (৩ বছর) ও সুহানা আক্তার (১৪মাস)। এদিকে হত্যা মামলার ১ নং আসামী মোঃ ইকবাল (৫৫) এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মামলা আপোষ না করলে প্রাণ নাশের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বাদী আবুল বশর। এতে নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি দুই শিশু নাতনীর প্রাণ নাশের আশংকায় রয়েছেন বাদী। জানা যায়, গত ২৭ অক্টোবর/১৬ ইং দিবাগত রাত্রে টেকনাফের শাহপরীরদ্বীপ হাজিপাড়ার মৃত আবদুল কাদের মাঝির ছেলে সৌদি প্রবাসী জমির হোসেনের স্ত্রী তাহেরা বেগমকে হত্যার পর তার দুই সন্তানকে গুম করে রাখে। ওই পরিবার এ ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে ধামাচাপা দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। নিহত গৃহবধু তাহেরা বেগম (২৬) সেন্টমার্টিন পূর্বপাড়ার বাসিন্দা আবুল বশরের মেয়ে। এব্যাপারে নিহতের পিতা আবুল বশর বাদী হয়ে টেকনাফ মডেল থানায় ভাসুর ইকবাল হোসেনকে প্রধান আসামী করে ৩ জনের বিরুদ্ধে ২৩ মার্চ ৭৬/২০১৭ নং হত্যা মামলা রুজু করে। হত্যা সংঘটিত হওয়ার পর থেকে ওই দুই কন্যা শিশু নিখোঁজ রয়েছে। মামলার বাদী আবুল বশর জানান, ১ নং আসামী মোঃ ইকবাল এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। মামলা আপোষ না করলে দুই শিশুকে হত্যা করবে বলে প্রকাশ্যে সন্ত্রাসী কায়দায় হুমকী দিয়ে যাচ্ছে। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি দুই শিশু নাতনীর প্রাণ নাশের আশংকায় রয়েছেন। নিহতের পিতা ও মামলার বাদী আবুল বশর আরো জানিয়েছেন, মেয়ের মৃতদেহ উদ্ধারের সময় দুই পা বাঁধা ও শরীরে আঘাতের চিহ্ন ছিল। তিনি জানতে পেরেছেন ভাসুর ইকবালের নেতৃত্বে তার মেয়েকে হত্যা করে স্বর্ণ ও নগদ টাকা লুট করেছে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে দুই সন্তানকে নিয়ে পালিয়েছে।

উল্লেখ্য যে, তাহেরা হত্যার খবর পেয়ে ঘটনার দিন রাত ১১ টার দিকে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘরের শয়ন কক্ষের মেঝ থেকে তাহেরার মৃত দেহটির সুরতহাল তৈরী করে। তখন লাশের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় এবং ওই সময় বাড়িতে কাউকে পায়নি। এমামলায় দুই নারী আসামীকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। তারা হচ্ছে শাহপরীরদ্বীপ হাজির পাড়ার মোঃ ইকবালের স্ত্রী হাছিনা বেগম (৩৫) ও বশির আহমদ প্রকাশ বশর বৈদ্যের মেয়ে শামীমা আক্তার (২২)। ২ জুলাই রবিবার দুপুর ২ টায় গোপন সংবাদে নিজ বাড়ীতে অভিযান চালিয়ে এসআই মুফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের আটক করে।